মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে স্পিডবোট-ট্রলারের সংঘর্ষে যুবদল নেতার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে। তবে ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেছে নিহত যুবদল নেতার পরিবার। এ সময় আহত আরও ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তারা হলেন- শামিম (৩৫), শাহাদাত (৩৮), আশেক আলী (৫৫) ও মিন্টু। মুন্সীগঞ্জস সদর হাসপাতালে আনার পর শান্তর মাথায় গুরুতর জখম পাওয়া যায় বলে জানান জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত স্টাফরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যু হয় ওই যুবদল নেতারৎ
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার শনিবার সকালে গণমাধ্যমের কাছে জানান, শুক্রবার রাত দশটার দিকে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় ঢাকা থেকে আসা স্পিডবোটের সাথে ওই এলাকায় অবস্থান করা মাছ ধরা ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে ঐ যুবদল নেতার প্রাণ গেছে। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে নিহতের ছোট ভাই মামুন সরকার বলেন, ‘আমার ভাই নদীতেই যায়নি। স্পিডবোটের সাথে ট্রলারের সংঘর্ষ হলে তার শরীর একটু হলেও ভেজা থাকতো। তাছাড়া তার বুকের পাজর ভেঙে গেছে, মাথায় ধারালো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন আছে। আবার তাকে নদীর পার থেকে সাদা হাইস গাড়িতে করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এই গাড়ি কার? এত দ্রুত কিভাবে ওখানে গাড়ি এলো?’
মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক দেওয়ান মজিবুর রহমান শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শাত্ম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি জানি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাšত্ম মারা গেছে। আমি ওর ওখানে যাচ্ছি পথমধ্যে আছি যাওয়ার পরে বি¯ত্মারিত বলতে পারবো।