ঝালকাঠির এর আগে পেয়ারার সুখ্যাতির সাথে এবার যোগ হলো আমাড়ার নাম। দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবে ঝালকাঠির ভিমরুলী ভাসমান হাটে পেয়ারার দরদামে ধস নেমেছিল। সেই অস্থিরতা কাটিয়ে মৌসুমের শুরুতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে আমড়ার হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমজমাট থাকে ভিমরুলীসহ আশপাশের বাজার। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে ৩০ কোটি টাকারও বেশি আমড়া বিক্রি হবে। যা গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে।
ভাসমান আমড়া বাজার সম্পর্কে স্থানীয় ও চাষিরা জানান, “এ বছর পেয়ারা বিক্রি করে কোনো লাভই তুলতে পারিনি। তার চেয়ে বর্তমানে আমড়ার বাজার সন্তোষজনক। প্রতি মণ আমড়া বিক্রি করছি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা দরে। এই দাম সামনে আরো বাড়তে পারে। পেয়ারর ফলন আশঙ্খাজনক না হওয়াতে আমরা পাঁচ বছর ধরে আমড়া চাষ করে আসছি আর ফলনও ইতিমধ্যে বেশ ভালো পেতে শুরু করেছি। তাছাড়া ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় যে কারণে পঁচে যাওয়ার ভয় থাকে না।।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, আমড়ার চাষ ঝালকাঠিতে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বছর জেলায় ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। আবাদি জমি থেকে ৪ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ফসল হচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া। এই জেলার ভাসমান বাজারকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দ্বার খুলেছে তাতে আমড়া চাষ ভালো ভূমিকা রাখছে।