বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জে দুই শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি এক ছাত্রলীগ কর্মী ও যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে আদালতের জামিন দেয়ার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সুপার মার্কেট এলাকার শহীদ চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ জনতার ব্যানারে শুরু হয় ‘মার্চ টু জজকোর্ট’ কর্মসূচি।
পরে মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে অংশ নেয় শতাধিক ছাত্র-জনতা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তিনজনকে। এরমধ্যে শ্রমিক সজল ও ডিপজল হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল ছাত্রলীগকর্মী রাহিম ও যুবলীগের বাঘড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে। তবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তথ্য প্রমাণসহ আদালতে উপস্থিত হয়ে দুজনের রিমান্ড আবেদন করলেও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান রিমান্ড না মঞ্জুর করে উল্টো আসামিদের সরাসরি জামিনের আদেশ দেন।
হত্যা মামলা এমন জামিন নজিরবিহীন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। অপরাধীরা মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ পাচ্ছে মন্তব্য করেন। এতে ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিহতের স্বজনরা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, হত্যা মামলায় আসামিদের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বিচারকদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে সুষ্ঠু বিচার না হলে শিগগিরেই ছাত্র-জনতা জোরালো আন্দোলনের মাধ্যমে আবারও বিচারের দাবি তোলার ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গ, গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে মিছিল বের হলে হামলা করে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় সজল-ডিপজলসহ তিনজন। এ ঘটনায় পরে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলো নিহতের স্বজনরা। সোমবার ছাত্রলীগকর্মী রাহিম ও যুবলীগের বাঘড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে আদালত সোপর্দ করা হয়েছিলো পরে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।