বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহত মুন্সিগঞ্জের ৮টি পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে প্রতি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় পরিবারগুলোর পক্ষ হতে নিহতদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়।
ঢাকায় নিহতরা হলেন- মিরকাদিম পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব, রামগোপালপুর এলাকার আনিছুর রহমান চৌধুরীর পুত্র শিক্ষার্থী শারিক চৌধুরী মানিক (২৯), সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সুখবাসপুর এলাকার সুলতান শেখের পুত্র ব্যবসায়ী ফরিদ শেখ (২৯), সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকার মো. কাজলে পুত্র শিক্ষার্থী মোস্তফা জামান সমুদ্র (১৭), গজারিয়া উপজেলার বড় রায়পাড়া এলাকার মো. সানাউল্লাহর পুত্র শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২০), শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর এলাকার আইয়ুব খলিফার পুত্র আল আমিন খলিফা (১৮) ও একই উপজেলার নজরুল ইসলামের পুত্র শিক্ষার্থী মো. শোভন (১৯)। তবে জেলার বাইরে থাকায় শোভনের পরিবারের কেউ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি।
২০ই আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং শেষে অনুদান তুলে দেন।
পরে তিনি উপস্থিত পরিবারগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তত ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩ জন নিহত হন গেল ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেট এলাকায়। বাকি ৬ জন ঢাকায়।
৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের সুপারমার্কেটে আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মো. সজল (৩০) ও নুর মোহাম্মদ সরদার ওরফে ডিপজল (১৭)। এর মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।