আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই ) সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবির আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়েছে পুরো চট্টগ্রাম জেলা। এদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।
আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
নিহতরা হলেন-ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম। বাকী একজন পথচারী বলে জানা গেছে।
বিকাল ৩:০০ টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চট্টগ্রামের ষোলশহরে জমায়েত হতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এরপরে তারাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালায়।
এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে চট্টগ্রামের ২ নং গেইট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত রনক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এর আগে আজ সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
সারাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কে অবরোধ চলাকালে কোটা বিরোধী আন্দোলকারীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রামে ৩ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।