মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন হালদার (৪৫) হত্যাকান্ডে আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে হাজারো মানুষ।
আজ রবিবার সকাল ১০ টা হতে ঘন্টাব্যাপী জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাঁচগাঁও ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে পাঁচগাঁও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় ও পাচগাও গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের প্রায় এক হাজার নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পাঁচগাও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান দেওয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান হালদার, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র বিশ্বাস, নিহতের ছোট ভাই লিমন হালদার, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার, সাবেক ইউপি সদস্য আয়েশা বেগমসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধন শেষে সুমন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামববন্ধন শেষে হঠাৎ করেই এক আসামীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ অগ্নিসংযোগ করার স্থলে ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রন আনা হয়েছে। আগুন দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করা হবে। অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই দুপুর ১ টার দিকে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ওরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় তিন দুষ্কৃতিকারীকে ধরে পুলিশে সোপাদ্য করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনার পরের দিন ৮ই জুলাই টঙ্গীবাড়ী থানায় নিহতের ছোট ভাই ইমন হালদার বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করলেও হত্যার মূল আসামিসহ পরিকল্পনাকারীরা এখনো পলাতক রয়েছে।