কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মোফাজ্জল হোসেন রোকন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার ১নং পাথরডুবী ইউনিয়নের পাথরডুবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। হেনস্থার শিকার ঐ ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের ফাকা ক্লাসরুমে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। এ সময় তিনি কৌশলে ঐ শিক্ষার্থীর শরীরের ষ্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। যৌন হয়রানির চেষ্টাও করেন। এরপর ঐ ছাত্রী কান্নাকাটি করে তার সহপাঠীকে জানিয়ে স্কুল থেকে চলে যায়। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরদিন মঙ্গলবার অন্য শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচারের দাবি জানায়।

ঘটনা শুনে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ে এসে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় কয়েকশ অভিভাবক তাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেমি, মারজানা, রিয়াদ, ইমরান বরাতে জানা যায়, ‘ঐ ছাত্রী কান্না করতে করতে ক্লাশরুম থেকে বের হয়ে তাদের জানান রোকন স্যার তাকে জোরাজুরি করেছে , ঘটনাটি যাতে কাউকে না বলি সে জন্য একশ টাকা দেয়ার চেষ্টাও করেছে’।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার তদন্তে এসেছেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এটা আমি চাই।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আখতারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে ঘটনার সত্যতা আছে। পূর্নাঙ্গ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।