ঝালকাঠির নলছিটিতে মানছুরা বেগম (২৩) নামে এক তরুণী শ্লীলতাহানি ও মারধর করার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সঠিক চিকিৎসায় এবারের যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পায়। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পশ্চিম কামদেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মানছুরা ঐ গ্রামের মজিবর আকনের মেয়ে। এ ঘটনায় মজিবর আকন নলছিটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, প্রতিবেশী রফিক হাওলাদারের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার মজিবরের ছেলে নিহাদ আকন বাড়ির পাশের একটি সুপারি গাছ থেকে কয়েকটি সুপারি পাড়ে। এটা দেখে রফিকের স্ত্রী শাহিনুর বেগম নিহাদকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। নিহাদ এর প্রতিবাদ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নিহাদকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় রফিক হাওলাদারের ছেলে ও মেয়েরা। তাদের ঘরের ভেতরে নিয়ে নিহাদকে মারধর করে। তাঁর চিৎকার শুনে বোন মানছুরা বেগম ওই বাড়িতে গেলে তাকেও পিটিয়ে যখম করা হয়। এসময় তাঁর শ্লীলতাহানি ঘটায় প্রতিপক্ষরা। এতে লজ্জায় ও ভয়ে ঘরে এসে সে বিষপান করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন ঐ তরুণী। 

এ ব্যাপারে ঐ তরুণীর বাবা মজিবর আকন বলেন, আমার ছেলে ও মেয়েকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। লজ্জায় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

অপরদিকে রফিক হাওলাদার জানান, আমার ঘরে বসে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের গাছের সুপারি পাড়া নিয়ে একটু কথার কাটাকাটি হয়েছিল কিন্তু বড় ধরণের কিছু হয়নি।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্রাব আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তা দ্রুতই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।