সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাসেম আল ওসামা (২০) নামে এক যুবকের টানা চার বছর এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে অন্যত্র বিয়ে করার ক্ষোভে নিজের মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করে নিজেকে পবিত্র করার চেষ্টা করছেন। এদিকে গোসলের সময় মাথায় দুধ ঢালতে ঢালতে তিনি বলেন প্রয়োজন হলে আমি হিজরা বিয়ে করবো, তবুও নারীর কাছে যাবো না। নিঃসন্দেহে নারীদের ছলনা অতি ভয়ানক বলে এভাবেই তিনি ক্ষোভ ছাড়ছেন। 

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

হাসেম আল ওসামা ওই গ্রামের মো: শাহাজান আলীর ছেলে। তিনি সলঙ্গা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

হাসেম আল ওসামা বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি সদরের এক মেয়ের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার সব কিছু মেনে নিয়ে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমাকে ছাড়া জীবনে অন্য কাউকে বিয়ে করবে বলে শপথও করেছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমি বেকার সেই অজুহাত দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটায়। বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারিনি। ভাবছিলাম আত্মহত্যা করব।’

আমাকে ছাড়া জীবনে অন্য কাউকে বিয়ে করবে বলে শপথও করেছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমি বেকার সেই অজুহাত দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটায়। বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারিনি। ভাবছিলাম আত্মহত্যা করব।’

জানা গেছে, পরে পরিবারের কথা ভেবে এবং বন্ধুদের পরামর্শে প্রেমের ব্যর্থতার শোক কাটাতে শতাধিক মানুষকে সাক্ষী রেখে মাথা ন্যাড়া করে সোনা-রূপা, গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি ও ২০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেন ।

ওসামা বলেন, ‘আমি ২০ লিটার দুধ দিয়ে গ্রামবাসীর সামনে গোসল করি। শপথও করেছি যে জীবনে আর কোনোদিন প্রেম করব না। বিয়েও করব না।

শ্রীকৃঞ্চপুর গ্রামের ফিরোজ হোসেন জানান, হাসেম আল ওসামা একটি মেয়ের সাথে প্রেম করেন। পরে সেই প্রেমিকা অন্যত্র বিয়ে করায় তিনি দীর্ঘ দিনের চুল, দাঁড়ি কেটে ও দুধ দিয়ে গোসল করেন।

তাড়াশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ছেলেটির সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এতে মনক্ষুণ্ন হয় হাসেম। রাগে-ক্ষোভে হাসেম নিজ মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করে।