সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল বিজয় র‍্যালি ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে।

সমাবেশটি বেলকুচি উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। বেলকুচি উপজেলার আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা একত্রিত হন। বিজয় র‍্যালিটি শুরু হয়ে বেলকুচি সরকারি কলেজ মাঠ চত্বরে সমাপ্ত হয়।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খাঁন আলিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ।

এছাড়া, কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁতী-দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মওলা খাঁন বাবলু উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতারা, যেমন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকার।

এছাড়াও, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম আজম, জেলা বিএনপির সহ তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হাজী আকছেদ আলী এবং বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম গোলাম বক্তব্য রাখেন। বেলকুচি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আলতাব হোসেন প্রামাণিক এবং পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফি ও যুবদলের সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রামাণিকও উপস্থিত ছিলেন।

এই গণসমাবেশে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন যেমন মহিলাদল, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করেন এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তারা উল্লেখ করেন যে, গণঅভ্যুত্থানই গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যম হতে পারে এবং এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া, তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে। বক্তব্য শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এই আয়োজনের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং স্থানীয় জনগণের উপস্থিতি ছিল চমকপ্রদ। এই গণসমাবেশ ও বিজয় র‍্যালি বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দিক নির্দেশনা প্রদান করতে পারে।