চট্টগ্রামে সমূদ্র সৈকতের ৪৭০ একর বালুচর জমিকে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বরাদ্ধ দেওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ভূমি সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ বিবাদীদের প্রতি বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২০ জানুয়ারী) এ আদেশ দেন।
এ সময় কমিটির কার্যক্রম অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওই বরাদ্ধ দেওয়া প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এর আগে, ‘সমূদ্র সৈকতকে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরা’কে বরাদ্ধ’ শিরোনামে গত বছরের ১০ অক্টোবর একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওই বরাদ্দের বৈধতা নিয়ে এবং তদন্তের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মোহাম্মদ কাওছার। এমন কি আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সমূদ্র সৈকতের বালুচর শ্রেণির জায়গা শ্রেণি পরিবর্তন করে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি কোম্পানীকে মাত্র ৫৫ কোটি টাকায় দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। এতে রাষ্ট্র ১৮০ কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। তাই জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে ৪৭০ একর জমি বরাদ্দ এবং অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়ে রুলসহ আদেশ দেন আদালত।