ঝালকাঠিতে গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জেলার রাজাপুর উপজেলার নিচু এলাকাগুলোর পাকা-আধা পাকা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। একদিকে ধান নষ্টের আশঙ্কা অন্যদিকে ধান কাটার জন্য মিলছে না শ্রমিক। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, দু-এক দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ধান কাঁদা মাটির সঙ্গে লেপটে আছে। বেশ কিছু নিচু এলাকার ধান পানির নিচে পড়ে আছে। এমতাবস্থায় আবহাওয়া দ্রুত উন্নতি না হলে ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। একদিকে শ্রমিক না পেয়ে অনেক কৃষক নিজেই নুয়ে পড়া ধান কাটতে গিয়ে শরীরের ব্যথায় জরাজ্বীর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সঠিক সময়ে ধান ঘরে না তুলতে পারলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। পঁচা খড়কুটোও গরু খাবে না। এসব দুঃশ্চিন্তায় হতাশায় ভুগছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয় ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ দশমিক ৯০ টন। উৎপাদন হয়েছে ৩ টন। ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টিতে ধানের সামান্য ক্ষতি হতে পারে। তবে আবওহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে। দ্রুত পানি সরে গেলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।