সম্প্রতি তামিমের চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের গর্ব তামিম ইকবাল। ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক এর শিকার হন তিনি। দুই ঘন্টার মধ্যেই এনজিওগ্রাম, রিং–সব সেরে ফেলেন ডাক্তার। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে তিনি এখন সুস্থ।
একটা দেশের মূল্যবান ক্রিকেটার, তাই তার প্রাণ বাঁচাতে দেরি নেই— আজ তিনি তামিম বলে হাসপাতালও তখন দয়া না করে সেবা দেয়। তবে যারা তামিম না, যারা শুধুমাত্রই নাগরিক- তাদের বেলাতে কেবলই বুকের উপর ভর্তি ফরম, সিরিয়াল, অ্যানালাইসিস ফি, প্রতীক্ষার ওয়ার্ড, আর হয়তো একটা শোকবার্তা। এখানে সেবা পেতে হলে তুমি ধনী হতে হবে, জনপ্রিয় হতে হবে, নয়তো হতে হবে নিছক ভাগ্যবান! এমন বহু প্রশ্ন অন্তর্জালে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্ট করছেন, একই রিং, একই ডাক্তার, একই অপারেশন— তবু কারো জন্য পঁচিশ হাজার, আর কারো জন্য দুই লাখ! এটা কি সেবা?না ভাই, এটা স্টেন্ট নামের চুক্তিভিত্তিক ডা*কাতি। বাংলাদেশে চিকিৎসা নেই—এই মিথ্যে বলে যারা, তারা আসলে সত্যকে আড়াল করে। চিকিৎসা আছে—সততা নেই। ডাক্তার আছে—দায়িত্ব নেই। হাসপাতাল আছে—মানবতা নেই।
দেশের এমনও চিকিৎসালয় আছে যেখানে সেবার জায়গায় রোগীর মুল্য দরদামে কেনাবেচা চলে। এখানে ওটি মানে ‘অপারেশন থিয়েটার’ না, এটা একেকটা ‘অফিস টেবিল’, একটা সিস্টেম। একদিন রিং পড়বে এই সিস্টেমের বুকে—হৃদপিণ্ড খুলে বের করা হবে প্রতারণার রক্ত। সেইদিন চিকিৎসা হবে আবার সেবা, ব্যবসা নয়।
নেটিজেনদের দাবি, ‘হোক সে তামিম বা তামিমিয়ান, হোক সে দিনমুজুর বা কুলি- চিকিৎসাতে আর নয় বৈষম্য, সেবাই হোক একমাত্র বুলি’।