নওগাঁর নিয়ামতপুরে জোরপূর্বক মাছ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভাবিচা ইউনিয়নের বোরামবাড়ী এলাকার প্রায় ৫০ জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজনের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার আব্দুল মতিন সোনার, সফিউল্লাহ সোনার, মোখলেছুর রহমান, মিঠু, মিনহাজুল, আলম, শহীদুল, তোতা, শ্রী পলাশ, শ্রী শ্যামল, হারুন অর রশীদসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মাছ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী ওই পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগী পরিবার ও বোরামবাড়ী আদিবাসী মৎস্যজীবি সমিতির সহসভাপতি সুশিল মার্ডির লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে আমাদের প্রতিনিধি জানায়, ১৯৯৩ সাল থেকে বোরামবাড়ী এলাকার ৩ টি পুকুর পাড়ে প্রায় ৩০ টি পরিবার বসবাস করে আসছে। সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত পুকুরে মাছ চাষ করে এই পরিবারগুলো আয় করে আসছিল। মঙ্গলবার(৭ জানুয়ারি) সকালে পুকুরের মাছ ধরে বিক্রির উদ্দেশ্যে মান্দা উপজেলার সতীহাটে যাচ্ছিল। গাবতলী বাজারে পৌঁছালে উপরোক্ত ব্যক্তিরা পিক-আপে থাকা লোকজনকে মারধর করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ (২০ মণ) মাছ নিয়ে চলে যায়।
এরও আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই অভিযুক্ত আব্দুল মতিন সোনার ও সফিউল্লাহ সোনার প্রায় ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দার টাকা না দেওয়ায় ভুক্তভোগীদের নানাভাবে হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সফিউল্লাহ সোনার সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, তাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে চক্রান্ত করছে। এ ঘটনার সাথে তাদেরদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে আদিবাসিরা জানায়, শান্তিপ্রিয় হওয়ার পরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়ছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুরের থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।