বর্তমান এই গরমের সময় দাদের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। শরীরের যেকোনো জায়গায় গোলাকৃতি ছত্রাকজনিত এই চর্মরোগ হয়ে থাকে এবং তীব্র চুলকানির জন্য এটি অনেক সময় বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দাদ একটি সংক্রামক রোগ এবং এটি এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।
দাদ হলে চুলকানি ছাড়াও ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালাপুরা ও ত্বক উঠে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাদ আক্রান্ত ব্যক্তিদের পোশাক, তোয়ালে, চাদর ও কম্বল আলাদা করে ধুয়ে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের মতে, ঘরোয়া উপায়ে দাদ নিরাময় করা সম্ভব। একটি কার্যকর পদ্ধতিতে রসুনের রসের সাথে নারিকেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে বলা হয়েছে। দিনে দুইবার করে এটি ব্যবহারে ৩–৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ হ্রাস পায়। তবে তীব্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন।