দেশে তরমুজের শহর হিসেবে পটুয়াখালী বেশ সুপরিচিত। উপকূল বেষ্টিত এ জেলাটি তরমুজ চাষের জন্য এক উর্বর স্থল। এবারে মৌসুমে গ্রেট ওয়ান, বিগ ফ্যামেলি, আনন্দ সুপার, সুইট ফ্যামিলি, লাকী ড্রাগনের মত বহুজাতের তরমুজের ফলন হয়েছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে লাভবানের লক্ষে জেলার সর্বোচ্চ স্তরের কৃষক ঝুঁকেছে আগাম জাতের তরমুজের আবাদে। বাজারে এসব জাতের তরমুজ তুলতে অনেকেই এখন ব্যস্ত হয়ে পরেছে। রমজানের শুরু থেকেই তারা এই ব্যস্ততম সময় পাড় করছে। জেলার গলাচিপা উপজেলায় সবচেয়ে বড় বাজার আমখোলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০০-৮০০টি তরমুজের ট্রাক যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। যেখানে প্রায় ১০০০ থেকে ১৩০০ মৌসুমি শ্রমিক দিন রাত কাজ করেন।
তরমুজ কৃষকরা বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের ফলন বেশ ভালো আসছে। সার-কিটনাশক সব ঠিক মতই ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সার ব্যবসায়িরা সার নাই নাই বলে সংকট দেখিয়ে সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অফিসে শরণাপন্ন হলে তবেই ন্যায্য দাম রাখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালী জেলায় ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বহুজাত তরমুজের। গতবছরের তুলনায় এবারে ফলও বেশ হয়েছে। বর্তমান বাজার মুল্য অব্যাহত এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার ৩ হাজার কোটি টাকার তরমুজ কৃষকরা বাজারজাত করতে পারবে। তাছাড়াও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে। ন্যায্য মূল্য ও দালালমুক্ত করণে তারা সর্বদা আমাদের পাশে আছেন।