১২ ঘন্টার মধ্যে চেয়ারম্যানের অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহার ও দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ জন কর্মকর্তার উপর মামলা, ৮ জনকে অপসারণের প্রতিবাদে ও পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল সোয়া ৪টা থেকে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইয়াসিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার উপর মামলা, অপসারণ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি।
তিনি জানান, সারাদেশে ৮০টি সমিতির মধ্যে ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জসহ ৬০টি সমিতি বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছে। দাবি পূরণ না হলে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ থাকবে।
এদিকে এদিকে বৈষম্য থেকে মুক্তিকামী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে এজিএম (ওএন্ডএম) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম, মো. সালাহউদ্দিন, (ডিজিএম) মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, এজিএম (ইএন্ডসি) প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন চলমান রয়েছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম তথা আরইবি সংস্কার সময়ের দাবি হিসেবে উল্লেখপূর্বক সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য গত ১ আগস্ট ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ইতোপূর্বে কমিটির ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি উপস্থাপন, গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে গত মে মাসে ৫দিন এবং জুলাই মাসে ১০ দিন কমবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু আরইবি, ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামে গণছুটি ঘোষণার পর জন দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মসূচি প্রত্যাহার, সারাদেশে একযোগে ডিসি অফিস ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতকরণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ, সমিতির কর্মকর্তাদের চাকুরি অবসানের আদেশ ও মিথ্যা মামলা ও হয়রানীমূলক বদলির আদেশ প্রত্যাহার এবং ২ দফা বাস্তবায়নের পরিপত্র জারি করতে হবে। অন্যথায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণাপূর্বক ২ দফা দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করতে বাধ্য হবে। ১৪ কোটি মানুষের নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে টেকসই, আধুনিক ও যুগোপযোগী বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণ এবং শহর ও গ্রামের বিদ্যুৎ বৈষম্য নিরসনে দেশের সকল স্তরের ছাত্র-জনতাসহ সর্বসাধারণের সুদৃষ্টি কামনা করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।