রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ জানুয়ারি) একজন ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভি ভাইরাসটি করোনার মহামারির থেকে বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। কেননা ২০২০ সালের ১৪ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারিতে ২১৩টিরও বেশি দেশে প্রায় ১৭ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছিল। তন্মধ্যে ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫১২ জন মারা গিয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করতেছেন ২০২৫ সালে এইচএমপিভিটি করোনার থেকেও বেশি মহামারি আকার ধারণ করব। একে মৌসুমী ফ্লু-ও বলা যায় কারণ ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি। ভাইরাসটি মানব জীবনের জন্য কতটা ভয়াবহ হবে তার কোন সু-স্পষ্ট নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রথম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি (এইচএমপিভি) আবিষ্কার হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে ভাইরাসটি আবিষ্কারেরও ৬০ বছর আগে থেকেই ভাইরাসটি মানবজগতে রয়েছে। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এইচএমপিভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবেন।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন বলেন, শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এটি।