দেশের চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৫ জানুয়ারী) রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। ৮৪ বছরের বর্ষিয়ান এ অভিনেতা এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার বাদ জোহর বিএফডিসিতে নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চাঁদপুর শহরের এক কায়স্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা প্রবীর মিত্র ছোট বেলা থেকেই বেড় ওঠেন রাজধানীর পুরান ঢাকায়। স্থায়ীভাবে বসবাস করেনও সেখানে।
প্রবীর মিত্র লেখাপড়ার প্রথম দিকে সেন্ট গ্রেগরি থেকে পোগজ স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে তৎকালীণ জগন্নাথ কলেজ থেকে ¯œাতক পাশ করেন।
কলেজে লেখাপড়া কালীণ পরিচয় হয় সেলিনা আক্তার আসমার সাথে। দু’জনের মন দেয়া-নেয়ার পর ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন সেলিনা আক্তার আসমাকে। আসমাকে তার শশুর বাড়ির লোকজন আদর করে অজন্তা মিত্র বলে ডাকতেন। সাংসারিক জীবনে তাদের সংসারে ৩ ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। ছোট ছেলে হার্ট এ্যাটাকে মারা যায় ২০১২ সালের ৭ মে, ১৭ বছর বয়সে বিএফ শাহিন কলেজে এইচ এস সি’তে পড়াকালীন সময়। আর স্ত্রী সেলিনা আক্তার আসমা মারা যান ২০০০ সালের দিকে।
প্রবীর মিত্রের প্রথম চলচ্চিত্র ‘জলছবি’ ১৯৭১ সালে তৈরি করেন এইচ আকবর। এর মাধ্যমেই তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তারপর ১৯৮২ সালে ‘বড় ভাল লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে পাশর্^চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে শ্রেষ্ঠ পাশর্^চরিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাঁকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত হাসান ইমাম ওরফে প্রবীর মিত্র প্রায় চার শত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার পারিবরিক সূত্রে জানাযায়, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগের সাথে কিডনি, ডায়াবেটক রোগে ভুগছিলেন। সপ্তাহ দুই আগে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন এই অভিনেতা।