‘প্রিয়—ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য, ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা; চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মধ্য, কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া। চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ, গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে; তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য, জীবনকে চায় ভালোবাসতে।’ বর্তমান এই কঠিন সময়ে যেন কানে বেজে ওঠে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলো।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে যারা মাথাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ভাগ্যের চাকা কতটুকু সচলভাবে ঘুরছে? আজকের এদিনে নিজেদের প্রাপ্য দাবি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকরা নেমেছিলেন আন্দোলনে। ১৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও কতটা নিশ্চিত হয়েছে শ্রমিকের পাওনা? দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকরা কেমন আছেন? তাদের দাবী গুলো সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে নেয়া গণমাধ্যম কর্মীদেরই নেই কর্মঘণ্টার হিসাব, এ তালিকায় আছে বেসরকারী ব্যাংকের কর্মচারীরাও।
শ্রম সংস্কার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৮৫ শতাংশ খেটে খাওয়া মানুষ এখনও রয়ে গেছে সামাজিক স্বীকৃতির বাইরে। যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে অথচ ঠিকমত পারিশ্রমিকটাও জুটে না।
গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষ আসলে যথাযথ তথ্য পাচ্ছেন না। সেই তথ্যের মাধ্যমে তিনিও যে একটি আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন, সেই তথ্যটাই তার কাছে নেই।